লাউ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো লাউয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ।
লাউ এর উপকারিতা : সাধারণ লাউ এর অসাধারণ কিছু উপকারিতার কথায় জানাবো আজ ।
- ক্যালরি কম , কম কালারের খাবার হিসেবে লও আদর্শ খাবার ৯৬ % পানি থাকে । উচ্চমাত্রায় ব্যাটারি ফাইবার থাকে লাউয়ে। ১০০ গ্রাম লাগে ১৫ ক্যালোরি ও ০.১ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এতে ভিটামিন সি ও সামান্য বি ভিটামিন ,আয়রন সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম ও থাকে
- পরিপাকে সাহায্য করে লাভে ভালো পরিমাণে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং পানি থাকে। তাই লাউ পরিপাকে এবং পরিপাক সম্পর্কিত সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও এসিডিটির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। যাদের পাইলসের সমস্যা আছে তাদের জন্য লাউ খাওয়া উপকারী।
- শীতলিকারক কারো লাউ এ ভালো পরিমাণে পানি থাকে বলে শরীর ঠান্ডা ও শান্ত করার ক্ষমতা আছে। তাই গরমের সময় লাউ খাওয়া উপকারী বিশেষ করে যারা প্রখর সূর্যের তাপে কাজ করে। কারণ তাদের হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে লাউ ।লাউ বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায় ।
- ইউরিনারি সমস্যার সমাধানের লাউ মূত্র বর্ধক হিসেবে কাজ করে । শরীরের অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে সাহায্য করে লাউ । ১ গ্লাস লাউয়ের জুসের সাথে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। ক্ষারীয় এই মিশ্রণটি এসিডিক মিশ্রণ কে তরল হতে সাহায্য করে এবং মূত্রনালীর জ্বালাপোড়া কমতে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে । লাউয়ে ফ্যাট ও ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম থাকে বলে লাউ ওজন কমাতে সাহায্য করে । রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে লাউ ।
- অকালে চুল পাকা রোধ করে । আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে যে, সকালে নিয়মিত তাজা লাউয়ের জুস পান করলে অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সাহায্য করে।
- ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে লাউ। এটি মুখের ত্বকের তেলের নিঃসরণের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে ।
লাউ এর ইংরেজি নাম :
- Ash Gourd.
- Bottle Gourd.
- Bitter Gourd .
- Spine Gourd .
- lvy Gourd.
- Pointed Gourd.
- Snake Gourd.
- Ridge Gourd .
- Apple Gourd.
- Sponge Gourd.
- cucumber Gourd .
লাউ চাষের পদ্ধতি :
সর্বপ্রথম যেখানে আমরা লাউ চাষ করব তার আশেপাশের মাটি গুলোকে আলগা করে নিব। যাতে করে আমার লাভের গাছের শিকড় গুলো মাটির নিচ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে বিস্তৃত হতে পারে। আর মাটিগুলো ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি উপরে উঠিয়ে নিবো। কোদাল দিয়ে হালকা করে আশেপাশে মাটিগুলো সরিয়ে দেবো। মাটিগুলো প্রাইস চার থেকে ছয় ইঞ্চি উচ্চতায় খুঁড়ে নেব , এরপর চারদিকের মাটিগুলো আমি সরিয়ে নেব। তো এখন আমি সর্বপ্রথম দিয়ে দিব তিন থেকে চার কেজি শুকনো গোবর সার । এরপর সেখানে তিন থেকে চার কেজি শুকনো গোবর সার দিয়ে দিব। এরপর শুকনো গোবর দেওয়ার পর পাঁচ থেকে সাত দিন দিয়ে রাখবেন । এরপর ডি এ পি সার -৭০ গ্রাম এর মধ্যে আছে ফসফরাস ও নাইট্রোজেন যেটা গাছকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এরপর দিব ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম ইউরিয়া সার । ইউরিয়া সারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন যেটা গাছকে দ্রুত বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে ।এরপর দিব ফুড়াডান - ২০ গ্রাম । ফুড়াডান হলো কীটনাশক,যা গাছে দিলে কোন রকম রোগ বালায় আক্রমণ করতে পারে না । এরপর দিব 20 গ্রামের মতো পটাশ সার। এই পটাশশার দিলে গাছের ভিতর পটাশিয়ামের অভাব দূর হবে। দ্রুত ফুল এবং লাউ আসবে । আমি সর্বপ্রথম যে মাটিগুলো উঠেছিলাম সে মাটি দিয়ে এখন সালগুলো কে ঢেকে দিব ।
লাউ গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি :
আমি সর্বপ্রথম দিয়ে দিব তিন থেকে চার কেজি শুকনো গোবর সার । এরপর সেখানে তিন থেকে চার কেজি শুকনো গোবর সার দিয়ে দিব। এরপর শুকনো গোবর দেওয়ার পর পাঁচ থেকে সাত দিন দিয়ে রাখবেন । এরপর ডি এ পি সার -৭০ গ্রাম এর মধ্যে আছে ফসফরাস ও নাইট্রোজেন যেটা গাছকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এরপর দিব ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম ইউরিয়া সার । ইউরিয়া সারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন যেটা গাছকে দ্রুত বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে ।এরপর দিব ফুড়াডান - ২০ গ্রাম । ফুড়াডান হলো কীটনাশক,যা গাছে দিলে কোন রকম রোগ বালায় আক্রমণ করতে পারে না । এরপর দিব 20 গ্রামের মতো পটাশ সার। এই পটাশশার দিলে গাছের ভিতর পটাশিয়ামের অভাব দূর হবে। দ্রুত ফুল এবং লাউ আসবে । আমি সর্বপ্রথম যে মাটিগুলো উঠেছিলাম সে মাটি দিয়ে এখন সালগুলো কে ঢেকে দিব ।
লাউ এর ফল পচা রোগ :
মূলত দুটি কারণে কচি লাউ পচে যায় । ১. পরাগায়ন না হওয়া। ২. মাছি পোকার আক্রমণ। এই দুটি সমস্যা সমাধান করতে যদি আপনি পারেন তাহলে কোনদিন লাভ আর পচে যাবে না । বর্তমান সময়ে লাউ পচে যাওয়ার জন্য ৯৫ % দায়ি এই দুটি কারণ । আবার বেশিরভাগ সময়ে মাছি পোকার আক্রমণের লাউ পচে যায়। অনেকেই শত শত টাকার বিষ প্রয়োগ করে ও মাছি পোকার দমন করতে পারে না ।
লাউ এর বিচির উপকার :
লাউয়ের বিচিকে সবচাইতে শক্তিশালী ও পুষ্টিকর বলা হয় । ম্যাগনেসিয়াম সংকট পূরণে সবচাইতে বেশি কার্যকর লাউ এর বিচি । শুধুমাত্র আপনার স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করতে লাউ এর বিচির গুরুত্ব অপরিহার্য । নাকের সমস্যা এবং হাত পায়ের জয়েন্ট এর ব্যথার সমস্যা সমাধান করে লাউ এর বিচি । এই বিচ টা খেলে আপনার বাতের ব্যথা দূর হয়ে যাবে । এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। শুধু তাই নয় পঞ্চাশ বছর এর উপরের বয়সের মানুষরা হাড়ের ফাটল ও আট শতাংশ মানুষের হাড়ের সমস্যা রয়েছে । পুষ্টিবিদরা বলেন লাউয়ের বিচির মধ্যে রয়েছে এ সকল গুন । শরীরের যাবত সকল সমস্যা দূর করতে এই বিচি যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে ।
লাউ এর পুষ্টি উপাদান :
- প্রচন্ড গরমে আমাদের দেহে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য লাউয়ের গুরুত্ব অপরিহার্য । লাউ শীতকালীন সবজি কিন্তু দেখা যায় সারা বছরই পাওয়া যায় । লাউয়ের পুষ্টিগুণ যদি আমরা বলি তাহলে শেষ করা যাবে না ! ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ লাউ খুবই কার্যকর। লাউয়ের রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। লাউয়ের ক্যালরি খুবই কম এবং এর সাথে কোলেস্টেরল নেই বললেই চলে । ডায়াবেটিকস রোগী যারা রয়েছে তাদের জন্য লাউ খুবই উপকারী । যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য লাউয়ের কোন বিকল্প নেই । লাউ আমাদের হজম সহায়তা করে। লাউয়ের দ্রবণীয় ফাইবার আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং আমাদের বিষন্নতা দূর করে। আমাদের পাইলসের মতন সমস্যা দূর করে। দেখা যায় অনেকের ঘুমের সমস্যা , ঘুমের জন্য লাউ প্রচুর পরিমাণে উপকারী । লাউ যদি এক বাটি খাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই ভালো ঘুম আসবে । ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে লাভের গুরুত্ব অপরিহার্য। লাউয়ের পুষ্টি উপাদান অপরিহার্য ।
লাউ এর অপকারিতা :
লাউ এর রস যদি তেঁতু হয় তা পান করার জন্য আমাদের শরীরে বিষাক্ত প্রতিক্রিয়া হতে পারে । এর ফলে আমাদের মৃত্যু হতে পারে । এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, ইত্যাদি হতে পারে । তাই লাউ খাওয়ার আগে লাউ এর রস চেকে নেওয়া উচিত । ডায়াবেটিকস রোগী রায একটু সাবধানে খাবেন কারণ লাউ এর রস বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস কমে যেতে পারে । কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে লাউয়ের রস খাওয়ার ফলে এলার্জি দেখা দিতে পারে । তাই যারা লাউ খাবেন তারা অবশ্যই লাউ খাওয়ার আগে লাউ এর রস চেকে নিবেন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url